নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা : ৪ আসামির ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা : ৪ আসামির ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের বাবা আক্তার হোসেন মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন কামরুল হাসান, রবিউল, আলী আকবর ও শুক্কুর আলী। এছাড়া সহায়তাকারী হিসেবে ডলি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। নাসরিন আক্তার নামে আরেক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

এসময় আদালতে পলাতক ছিল রবিউল ও ডলি বেগম। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রসিকিউশন শাওন শায়লা জানান, ২০০৫ সালের ৩ জুন সকালে ফতুল্লার মুসলিম নগরের কেএম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আফসানা আক্তার নিপাকে জোরপূর্বক বক্তাবলী লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি ক্ষেতে নিতে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় ওই ছাত্রীর বয়স ছিল ১১ বছর।

তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন কামরুল, রবিউল, শুক্কুর আলী মিলে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। আলী আকবর ছিলেন বক্তাবলীর ট্রলার চালক। এ সময় কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান আলী আকবর। গিয়ে দেখেন তারা তিনজন ধর্ষণ করছেন। এসময় পুলিশকে বলে দেবেন জানালে আলী আকবরকে হত্যার এবং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তাকে দিয়ে পাহারা দেয়ায় বাকি তিনজন। পরে ধর্ষণ শেষে তাকেও ধর্ষণ করতে বলা হলে তিনি দেখেন মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। পরে তিনি আর ধর্ষণ করেনি। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রথমে ডলি আক্তারের বাসায় ও পরে নাসরিনের বাসায় নেয়া হয়। দু’জনে মিলে লাশটি আবার ক্ষেতে নিয়ে ফেলে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষণ মামলায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। এসময় আরো একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।