রাজধানীতে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

রাজধানীতে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল রোববার রাত থেকে ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে আজ সোমবার দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।

বৃষ্টিতে আজ সকালে ঢাকায় রিকশা কম ছিল। কম ছিল গণপরিবহন। কোনো কোনো সড়কে পানি জমে যায়।

এ অবস্থায় কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মজীবীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও বাসা থেকে বেরিয়ে বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। অনেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। আবার কাউকে কাউকে বাসায় ফিরে যেতে দেখা যায়।

বনানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সোহেল রানা। তিনি থাকেন মগবাজারে। বৃষ্টির কারণে সকালে অফিসে যেতে তাঁর প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি হয়।

সোহেল বলেন, ‘সকালে অফিসের জন্য বেরিয়ে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। পরে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়ায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে অফিসে যাই। টাকাও গেল, অফিসেও দেরি হলো।’

সকালে বাস না পেয়ে কলেজে যেতে পারেননি আকিবুল ইসলাম। তিনি মিরপুর এলাকার একটি পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী।

আকিবুল বলেন, ‘সকালে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস ছিল। কলেজে যাওয়ার জন্য মহাখালী এলাকার বাসা থেকে রাস্তায় বের হয়েছিলাম। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যেতেই বৃষ্টিতে পুরো শরীর ভিজে যায়। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে বাসায় ফিরতে বাধ্য হই।’

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপেক্ষা করছিলেন বৃদ্ধা কুলসুম বেগম। তিনি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফার্মগেট এলাকার একটি চক্ষু হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বের হন। কথা হয় কুলসুমের মেয়ে নূর বানুর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বেলা একটায় চিকিৎসক দেখানোর সময় দেওয়া আছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও অটোরিকশা পাচ্ছেন না তাঁরা।

সকালে রাজধানীর তেজগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাপ্তানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। লোকজন গণপরিবহনের জন্য সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। যাঁরা ছাতা নিয়ে বের হননি, তাঁরা ভিজে যাচ্ছেন।

বৃষ্টির কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকের আজ অতিরিক্ত ভাড়া চাইছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আজ সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। সিত্রাং আজ গভীর রাতে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে বরিশাল উপকূলে আঘাত হানতে পারে, বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।