পুলিশি হেফাজতে ছাত্রদল নেতা নুরুলকে হত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন

পুলিশি হেফাজতে ছাত্রদল নেতা নুরুলকে হত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন

ছয় বছর আগে চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তৎকালীন সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁইয়ার আদালতে মামলা নেওয়ার আবেদনটি করেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতা মিজানুর রহমান।

বাদীর আইনজীবী মাহফুজার রহমান বলেন, ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদনটি করা হয়েছে।’

আইনজীবী সূত্র জানায়, বাদীর বক্তব্য শুনেছেন আদালত। তবে মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি।

আবেদনে আসামি করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের রাউজান থানা সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ ও রাউজান নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ শেখ জাবেদকে।

যে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তাঁদের কেউ বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত নেই। তিনজনের মধ্যে নূরে আলম মিনা বর্তমানে রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার।

ঘটনার পর রাউজান থানার তৎকালীন ওসি কেপায়েত উল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া খেলারঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে নুরুল আলমের হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া যায়। আগের দিন ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ১২টায় পুলিশ পরিচয়ে চট্টগ্রাম নগরের চন্দনপুরা এলাকার বাসা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নুরুল আলমের হাত ও পা নাইলনের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। ওড়না দিয়ে তাঁর মুখ ও শার্ট দিয়ে চোখ বাঁধা ছিল। তাঁর মাথায় দুটি গুলির চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। রাউজানের নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় নির্যাতন করে নুরুল আলমকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশ নদীতে ফেলে দেয় পুলিশ।