জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী

জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী

জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুই দিনব্যাপী সাব-রেজিস্ট্রারদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এই আইন সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য আইনের পরিবর্তন জরুরি। এই আইন সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই আইন পাস হবে, তারপরেই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। একইসঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি দ্রুত শুনানিরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছেন, অনেক রায় কার্যকর হয়েছে। ভিন্ন নামে জামায়াতের করা আবেদন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কীভাবে নিষ্পত্তি করে- সেটিও সরকার পর্যবেক্ষণ করবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।

এর আগে কর্মশালায় সাব-রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণকে কোনোভাবে হয়রানি না করে দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে। জাল-জালিয়াতি রোধে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর মানসম্মত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার নিবন্ধন অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করে সমস্ত ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজড করতে চায়। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশন পাইলটিং প্রকল্প শেষ হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার আলোকে সারাদেশের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এটা চালু হলে নির্ভুলতার সঙ্গে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে দলিলের দাতা এবং গ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন কার্যসম্পাদন করতে পারবেন। ফলে সরকারি রাজস্ব আদায়েও গতিশীলতা বাড়বে।

নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।