রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ

রংপুরে গণপরিবহন বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

রংপুরে গণপরিবহন বন্ধ, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আগামীকাল শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। এই সমাবেশকে সামনে রেখে হঠাৎ করে ধর্মঘট ডেকেছে জেলা মোটর মালিক সমিতি। সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে রংপুর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রংপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ। রংপুর রুট ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সাধারণ মানুষও আটকা পরেছেন। কোন পরিবহন না পেয়ে অনেকেই বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ ভেঙে ভেঙে বিকল্প মাধ্যম ব্যবহার করে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করছেন। শিশু ও বয়স্ক নারীরা পড়েছেন বিপাকে। রংপুর শহরের মধ্যে ব্যাটারি চালিত রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও কয়েকগুন বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এদিকে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থেকে অটোরিকশায় করে গতরাতে বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে রংপুর সিটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল আসেন হেদাড়িযা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুলেখা।

গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারারাত বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করেন তারা। শুক্রবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত কোনো বাস না পেয়ে, ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তিনি বলেন, বয়স্ক বাবাকে নিয়ে কুড়িগ্রামে চাচার বাড়িতে যাব। সকালে জরুরী কাজ ছিল এজন্য গত রাতেই রওনা করি। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেতে পারিনি। সারারাত বাবাকে নিয়ে এই শীতের মধ্যে টার্মিনালে বসেছিলাম। কোন উপায় না পেয়ে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়া করে যাচ্ছি। হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট জনগণের ভোগান্তি বাড়ানো হয়েছে। মানুষের কষ্টের সীমা নেই। পুরো পথে পথে ভোগান্তি। আমাদের মত বহু মানুষ টার্মিনালে আটকে আছেন।

বগুড়া থেকে আসা নুরে আলম নামে এক যাত্রী বলেন, দিনাজপুরের জরুরী কাজ আছে। এজন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে রংপুরে আসি। এখন এখানে এসে আটকা পড়েছি। কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। টার্মিনালে সারি সারি বাস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। টার্মিনালের লোকজন আমাকে ব্যাটারি চালিত রিকশা যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এদিকে প্রতি মুহূর্তেই বাস টার্মিনালে ভিড় করছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে গণপরিবহন না পেয়ে ফিরে গেছেন।