ঠাকুরগাঁও থেকে সাইকেল চালিয়ে রংপুরে বিএনপির ৩০ কর্মী

ঠাকুরগাঁও থেকে সাইকেল চালিয়ে রংপুরে বিএনপির ৩০ কর্মী

‘রংপুরে বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাব। প্রতিদিনি ভাবতাম কখন যাব। ভেবেছিলাম সমাবেশের দিন সকালে বাসে করে যাব। আগে একটু শুনেছিলাম বাস বন্ধ করে দেবে। সেটাই হয়েছে। সেটা জানার পর আমরা ৩০ জন সিদ্ধান্ত নিই সাইকেল চালিয়ে যাব সমাবেশে। সাথে রাস্তায় খাওয়ার জন্য আমরা পানি, চিড়া, মুড়ি ও গুড় নিয়েছি৷ অনেক কষ্ট হলেও এখানে এসে আমরা অনেক আনন্দিত।’

ঠাকুরগাঁও থেকে ১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সমাবেশস্থল রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আসার পর কথাগুলো বলছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৯নং বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের যুবদল কর্মী। তার সঙ্গে আরও ৩০ জন সাইকেল চালিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন।

শরিফুল বলেন, আমি আমার দেশ ও দলের জন্য আরও কষ্ট করতে চাই। প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চাই। তবুও এই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন চাই। আগামীকালের সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের নেত্রীর মুক্তি চাই ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ অক্টোবর রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি।

এদিকে বিভাগীয় এই সমাবেশকে ঘিরে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতি। ধর্মঘটের কারণে বাস বন্ধ থাকায় সমাবেশস্থলে আসতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের।

ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের সভাপতি তুহিন নুর বলেন, বিভাগ থেকে আমাদের জেলার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের অধিক। আমরা যাতে সমাবেশে না আসতে পারি সেজন্য বাস বন্ধ করা হয়েছে। পথিমধ্যে আমাদের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তবুও আমাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশকে সফল করতে যে যেভাবে পারছেন সমাবেশস্থলে আসছেন। ইতোমধ্যে আমাদের জেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী পৌঁছেছেন। আরও অনেকে রাস্তায় রয়েছেন। তারাও এ গণসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য পথে আছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী এ জেড এম জাহেদ হোসেন বলেন, গণসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য নেতা-কর্মীরা ছুটে আসছেন। পথিমধ্যে তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সব বাধা বিপত্তি উপেক্ষা তারা আসছেন। আমরা আশা করছি সমাবেশস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হবে।