এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি : অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি : অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ

এইচএসসি পরিক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় উঠে এসেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার পর সেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- বাংলা প্রথমপত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত। প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির সাথে জড়িত প্রশ্নকর্তা ঝিনাইদহের মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। অপরদিকে প্রশ্নপত্র পরিশোধনের দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো: শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: রেজাউল করিম।

উল্লেখ্য, গত রোববার সারা দেশে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বোর্ডের ‘কাসালাং’ সেটের নাটক-সিরাজউদ্দৌলা অংশের ১১ নম্বর প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রশ্নে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিস বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামের এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

এই গল্প উল্লেখ করে প্রশ্নপত্রে চারটি প্রশ্ন করা হয়। তার দুটি এ রকম, মিরজাফর কোন দেশ হতে ভারতে আসেন? উদ্দীপকের নেপাল চরিত্রের সঙ্গে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মিরজাফর চরিত্রের তুলনা করো?

এদিকে প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় আসাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।