বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা স্পষ্টতই উদ্বেগের: জাতিসংঘ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা স্পষ্টতই উদ্বেগের: জাতিসংঘ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত ডিকাব টকে এই কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সহিংসতায় অনেকে আহত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। এটা নিশ্চয়ই উদ্বেগের বিষয়।’ ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে রাজনৈতিক সংঘাত ও মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আমি কীভাবে দেখছি। মে মাসে আমি ঢাকায় আসার পর থেকে গত কয়েক মাসে মানুষ আহত হয়েছেন এবং নিহতও হয়েছেন। সুতরাং এটা নিশ্চিতভাবে উদ্বেগের।

রাজনৈতিক দল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জাতিসংঘ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কীভাবে এর সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই রয়েছে জাতিসংঘ।’

তিনি বলেন, প্রতিবাদ ও সমাবেশ গণতন্ত্রেরই অংশ এবং এটার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সংলাপ ও আলোচনার পথ তৈরি করতে আহ্বান সব সময় থাকবে।

নির্বাচন নিয়ে অতীতের মত সংলাপ আয়োজনের সম্ভাবনার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো দেশে নির্বাচনে সম্পৃক্ততার সিদ্ধান্ত আমার কিংবা জাতিসংঘের নয়। এটা আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, এটা সরকারের বিষয়, তারা কোনো সহযোগিতা চায় কি-না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদ কিংবা কোনো দেশের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট অনুরোধ ছাড়া নির্বাচনে জড়িত হওয়ার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের নেই। কোনো উদ্বেগ থাকলে তা নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়টি আমাদের কাজেরই অংশ।’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের দূত বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য বড় সংকট সত্ত্বেও এই ইস্যুতে মনোনিবেশ করে চলেছে জাতিসংঘ। একটি রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছে। এটি অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং। সেখানে আমাদের নজর রয়েছে।’

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। প্রত্যাবাসন কবে নাগাদ শুরু হবে সেটা বলা কঠিন। তবে স্বেচ্ছা ও নিরাপদ অভিবাসনই আমাদের মূল অগ্রাধিকার। জাতিসংঘ এবং আমাদের অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।

তিনি জানান, এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে জাতিসংঘ সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এক্ষেত্রে সফল হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।