এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ার পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্টজোন। বাকি বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা আর ৫ কোম্পানি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বলছে, প্রস্তাবটি তারা এখনও হাতে পায়নি। সব প্রস্তাব হাতে পেলে যাচাই-বাছাই করে গণশুনানিতে যেতে পারে বলে কমিশন সূত্র জানায়।

প্রসঙ্গত, আজ সোমবার পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯.৯২ ভাগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিইআরসি। এতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিদ্যুতের দাম প্রতি কিলোওয়াট/ ঘণ্টা ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বিল মাস ডিসেম্বর থেকে এই দাম পরিশোধ করতে হবে।

এ বিষয়ে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) এক কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে জমা দেওয়া আবেদনে ২০ ভাগ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তারা। মূলত পাইকারি দাম বাড়াতে খুচরা বিদ্যুৎ বিক্রির প্রভাব বিবেচনা করে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, খুলনা বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে কোম্পানিটি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য আবু ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখনও তাদের প্রস্তাব হাতে পাইনি। হয়তো ডাকযোগে পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলো যদি সবাই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় তাহলে কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে গণশুনানি করবো। এরপর কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটা তখনকার বিষয়।’

এদিকে জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা এখনও আবেদন করিনি। কিন্তু আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনও আমার অফিসে এ বিষয়ে কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানা যায়।’

এদিকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, বিতরণ কোম্পানিগুলো পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রস্তাব দেবে, গণশুনানি হবে, এরপর আদেশ দিলে দাম বাড়বে।

এদিকে দুপুরে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও এখনই গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সারা পৃথিবীতেই বিদ্যুৎ-জ্বালানির প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হচ্ছে। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ার বিষয়টি নির্ভর করবে মাঠপর্যায়ের তথ্যের ওপর। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’