বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

রাজধানীর বাড্ডায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশফাকুর রহমান চৌধুরী শাতিল (১৯) নিহত হয়েছেন।

এ বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজের (বিএন কলেজ) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় শেয়াইব হোসেন (১৯) ও রুপম দত্ত (১৮) নামে তার দুই বন্ধু আহত হয়েছেন।

আহতরা তেজগাঁও পলিটেকনিকের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মধ্যবাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের ১৩ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাতিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। শাতিলের বাসা ডিআইটি প্রজেক্টের ১১ নম্বর রোডে। তার বাবার নাম মনিরুজ্জামান চৌধুরী সজল। তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারে। শোয়াইবের শরীরের কয়েকটি জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শাতিলের চাচা হিল্লোল চৌধুরী জানান, সন্ধ্যায় শাতিল পড়তে বসেছিল। এ সময় বাইরে থেকে বন্ধুরা তাকে বারবার ফোন দেয়। একটু দেখা করে আসি কি ঘটনা বলে শাতিল বের হয়।

পরে খবর পাই ছুরিকাঘাতে সে খুন হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে শাতিল বড় ছিল। ৯ মাস আগে তার মা ক্যানসারে মারা যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুপম দত্ত জানান, ৩ দিন আগে মেরুল বাড্ডার রকি নাম ধরে ডাকায় আমার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমার গলায় রকি চাকু ধরে।

সেটি শাতিল দেখে ফেলেছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার রাত ৮টার দিকে রকিসহ কয়েকজন ১৩ নম্বর রোডে বলে, ‘ওই বেটা বিচার দিছস কার কাছে?’ একথা বলেই আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে।

পরে শাতিল এগিয়ে এলে তার বাম পায়ের রানে, শোয়াইবের বুকে ও আমার পিঠে ছুরিকাঘাত করে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বাড্ডা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রকিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।