রোহিঙ্গা নির্যাতন: বর্মী বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছে আইসিসি

রোহিঙ্গা নির্যাতন: বর্মী বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছে আইসিসি

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতার ঘটনায় বর্মী বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অনলাইনে আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজও চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক আদালত। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে প্রথম বার্ষিক প্রতিবেদনে করিম খান এসব তথ্য জানান।

সোমবার আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে। রোম সনদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলোর নিয়ে আয়োজিত ছয়দিনের ওই সম্মেলন ১০ই ডিসেম্বর শেষ হবে। ইউক্রেনের রণাঙ্গন থেকে ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে যুক্ত হন লিথুনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাবরিলিয়াস ল্যান্ডবারগিস। ইউক্রেনের রণাঙ্গন থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে ল্যান্ডবারগিস অনেকের মনোযোগ কাড়েন। তিনি ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইসিসির চলমান অধিবেশনে যুক্ত হন।

সম্মেলনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে তদন্ত করার অনুমোদনের পাওয়ার পর প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এরপর থেকেই আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর, বাংলাদেশ সরকার, কূটনৈতিক মহল, জাতিসংঘ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান কৌঁসুলি কক্সবাজার তথা বাংলাদেশে ৫ দিন কাটান।