লন্ডভন্ড বিএনপি কার্যালয় দেখে হতভম্ব নেতারা

লন্ডভন্ড বিএনপি কার্যালয় দেখে হতভম্ব নেতারা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পুরো ভবনের প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর আর তাণ্ডবের চিহ্ন। দলটির চেয়ারপারসন আর মহাসচিবের কক্ষও বাদ যায়নি। এই দুটোর দরজাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। কার্যালয়ের প্রবেশপথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ঘিরে কাচের ঘরটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজ রবিবার ভবনজুড়েই এ রকম চিত্র দেখা গেছে।

কার্যালয় ঘিরে ১২টি সিসি ক্যামেরার স্ট্যান্ড পড়ে রয়েছে; ক্যামেরার হার্ডডিস্কের হদিস নেই, ভেঙে ফেলা হয়েছে ক্যামেরাগুলো। কার্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কম্পিউটারের মনিটর থাকলেও সিপিইউ নেই কোনোটির। দলটির কেন্দ্রীয় হিসাবরক্ষণ শাখার কম্পিউটার উধাও হয়ে গেছে। কোনোটারই নেই স্ক্যানার, প্রিন্টার। আলমারির তালা ভেঙে ফাইল, কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

দলের নেতাকর্মীর সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুষ্ঠিত স্কাইপের মনিটরটিও নেই। পুরো ভবনে ছড়ানো-ছিটানো রয়েছে পোস্টার, লিফলেট আর নেতাকর্মীর জুতা-স্যান্ডেল।

ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের চার দিন পর আজ দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান দলটির নেতারা। প্রথমে শুধু সংবাদ কর্মীদের ভেতরে নেওয়া হয়। এর পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ভেতরে প্রবেশ করেন। কার্যালয়ের পুরো ভবনে তাণ্ডব দেখে হতভম্ব ও অবাক হয়েছেন দলটির নেতারা।

দুপুর ১টায় দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহকর্মী ও কয়েকজন আইনজীবীকে নিয়ে কলাপসিবল গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং প্রতিটি কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন। এরপর তাঁরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেন। জানা গেছে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর মামলা করা হবে।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, একটা স্বাধীন দেশে একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিরোধী দলের কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের কক্ষ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবের কক্ষসহ সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়েছে। সরকার সারাদেশকে যে রকম লন্ডভন্ড করে দিয়েছে, সে রকমই অবস্থা করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে এতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।