গ্রেপ্তার-নির্যাতন, মামলা দিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না: বিএনপি মহাসচিব

গ্রেপ্তার-নির্যাতন, মামলা দিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না: বিএনপি মহাসচিব

টানা একমাস কারাবন্দি থাকার পর মুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। উচ্চ আদালতের জামিনে সোমবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা মুক্ত হন। মুক্তি পেয়ে রাতেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান তারা। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মির্জা ফখরুলকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। তাদের মুক্তিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন দলীয় কর্মীরা। 

মুক্ত হয়ে বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গ্রেপ্তার নির্যাতন করে, মামলা দিয়ে আমাদের দমন করতে পারবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পরাজিত করব ইনশাআল্লাহ। যত বেশি নির্যাতন করবে তত বেশি নেতাকর্মী জেগে উঠবে।

তিনি বলেন, আমাদের পার্টি অফিস থেকে চারশ’র ওপর নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে তারা (সরকার) মনে করেছিল, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে পারবে। কিন্তু পারেনি। আপনারা সফলভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। আজকে গোটা বাংলাদেশ প্রতিবাদের ঝড়ে প্রকম্পিত হয়েছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের পিছু হঠার সুযোগ নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। আমাদের যারা কারাগারে আছে তাদের মুক্ত করতে হবে। আন্দোলন আরও তীব্র করে তুলতে হবে। ১১ তারিখ আমাদের গণঅবস্থান আছে। আন্দোলন সফল করার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। এই সরকারকে পরাজিত করাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। জেল থেকে বের হয়ে আমাদের আবার নতুন অঙ্গীকার, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলতেই থাকব।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা ও আপনাদের আন্দোলের মাধ্যমে আমরা মাত্র দুইজন মুক্তি পেয়েছি। আরো সবাই এখনো কারাগারে। শুধু বন্দি নয় তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। একটা সেলের মধ্যে ৫ থেকে ৭ জনকে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। 

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সময়ের ব্যাপার। আপনাদের আন্দোলনে চাপের মুখে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবে বাধ্য হবে। আমরা বৃহত্তর সংগ্রামের মধ্যে আছি। এই দেশের মাটি, মানুষকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে। 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।