সংঘর্ষ-মারধরের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার

সংঘর্ষ-মারধরের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ ও মারধরের পাঁচটি ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় লিখিত আদেশ তৈরি করে এ তথ্য জানায় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপাচার্য প্রফেসর শিরিণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। এতে ১৬ জনকে একবছর, একজনকে দু’বছর ও একজনকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত হলেন যারা
গত বছরের ১১ আগস্ট খালেদা জিয়া হলে ছাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসফিয়া জাসারাত নোলককে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর এক কর্মরত সাংবাদিককে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার ঘটনায় দু’জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরশিল আজিম নিলয় ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব মোহাম্মদ আতিক।

গত বছরের ৮ অক্টোবর আলাওল হলের প্রভোস্ট কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের হাসান মাহমুদকে এক বছর এবং একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া গত ২ ডিসেম্বর এ এফ রহমান হলে দেশীয় অস্ত্র হাতে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া, হল কক্ষ ভাঙচুরসহ মূল্যবান সম্পদ বিনষ্টকরণ ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হুমকির ঘটনায় ছয়জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তারা হলেন, সংস্কৃত বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অনিক দাস, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অয়ন কান্তি সরকার, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের লাবিব সাঈদ ফাইয়াজ, ইতিহাস বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিফাতুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মোবারক হোসেন ও একই শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নাহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার দায়ে আরো ছয়জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃতরা হলেন ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আমিরুল হক চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো: সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাহিম, ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: ইকরামূল হক, দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন দেবনাথ।

শাটল ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সুনাম বিনষ্টের অভিযোগে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো: জোবায়ের হোসেনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।