টেকনাফে মিয়ানমার থেকে পাচারকালে নাফনদীর কেওড়া বাগান এলাকায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় এক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। সে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়ার মোঃ জাকারিয়ার পুত্র মোঃ ইয়াছ নূর (২২)।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার, বিজিবিএম।
তিনি জানান- গোপন সংবাদে জানা যায় যে, বুধবার দিন গত রাতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র বিআরএম-৩ হতে ৭০০ গজ উত্তর দিকে ওবিএম পোস্ট এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে বিজিবি জওয়ানদের একটি বিশেষ টহলদল এবং শাহপরীরদ্বীপ বিওপি হতে একটি চোরাচালান দমন টহলদল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে সেখানে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। রাত আটটার দিকে টহলদল ওই স্থানে একজন ব্যক্তিকে নাফ নদীতে মৎস্য আহরণ শেষে জাল হাতে নিয়ে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়িবাঁধের দিকে আসতে দেখলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে। ফলে ওই ব্যক্তি বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্র তার হাতে থাকা জাল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালোনোর চেষ্টা করলে টহলদল তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তার কোমরে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় নেটের জাল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো ২টি স্বর্ণের বারের বেল্ট এবং ৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ওই বেল্টগুলো খুলে ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৩ কেজি ৩২০ গ্রাম। যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। ধৃত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে ওই স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত আরো দুই জন চোরাকারবারিকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।
অধিনায়ক আরো জানান- উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল টেকনাফ কাস্টম অফিসে এবং স্বর্ণের বার সমূহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ট্রেজারী শাখায়) জমা এবং আটককৃত আসামি ও ২ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সরকারী কর/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে।
