যদ্দিন আছি আই উইল ডিফেন্ড: রাষ্ট্রদূত তৌহিদ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যদ্দিন আছি আই উইল ডিফেন্ড: রাষ্ট্রদূত তৌহিদ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত তৌহিদুল ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিলেটে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমি যদ্দিন আছি, আই উইল ডিফেন্ড। দুপুরে সিলেটের টুকেরবাজারে চানপুর খেয়াঘাটে সুরমা নদী খনন কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত তৌহিদুল ইসলামকে গুড অফিসার উল্লেখ করে বলেন- গত জুলাই মাসে ভিয়েনা মিশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কূটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলামকে নিয়োজিত করতে প্রস্তাব পাঠানো হয়। অস্ট্রিয়া সরকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে তৌহিদুল ইসলামকে প্রহণ করতে রাজি হয়নি। পরে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর অস্ট্রিয়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে একটি চিঠি লিখেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেন। তিনি তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান। কিন্তু তারপরও ভিয়েনা থেকে তৌহিদুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- বর্তমানে তৌহিদুল অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে যেয়ে মাল্টিন্যাশনাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। তৌহিদ যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেয়, তখন সারা বাংলাদেশের মধ্যে সে প্রথম হয়। তারপরে সে তার ব্যাচের ফার্স্টবয় ছিল। অত্যন্ত ভালো, তুখোড় ছেলে। এখন ওরে টেনে কিভাবে নামানো যায়, তার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি এসব কাজ করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- তৌহিদুলের শত্রু আছে। শত্রুরা ওখানে গিয়ে, সে যখন মিলানে কনসাল জেনারেল ছিল, কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনো একটা মেয়েকে তার পেছনে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দিয়ে একটা কেলেংকারির চেষ্টা করে। তখন তাকে উহ্য করা হয়, সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়, সরকারের অনেক টাকা, আপনাদের টাকা খরচ করা হয়। পরে দেখা যায়, এক্কেরে বানোয়াট। তারপর তার প্রমোশন হয়, তারপর অ্যাম্বাসেডর হয়। এখন তার বিরুদ্ধে আবার লাগছে একদল, তারই বন্ধুবান্ধব হবে। আর না হয় পত্রিকায় এগুলো গেল কিভাবে? হি ইজ অ্যা ভেরি গুড অফিসার।’