শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ, নিয়ে আসা হচ্ছে উখিয়ায়

শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ, নিয়ে আসা হচ্ছে উখিয়ায়

শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে সরকার। বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনে ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে সরানো হচ্ছে। দুপুর ১ টা পর্যন্ত নিয়ে আসা হয় ৮০ জনকে।

গত ১৮ জানুয়ারি ভোর থেকে শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি শুরু হয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও'র মধ্যে। পরে বিকেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় ক্যাম্পটি। আগুনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব রোহিঙ্গারা। সেইদিনের স্মৃতি মনে পড়তেই আঁতকে আজও উঠেন রোহিঙ্গারা। এমন দুর্দশাগ্রস্ত সময়ে তাদের আশ্রয় দেয়ায় কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের প্রতি।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি ২ হাজার ৯৭০ জনের একটি তালিকা তৈরি করে। তাদের প্রথমে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসছে। পরে সেখান থেকে যারা আগে থেকেই নিবন্ধিত তাদের উখিয়া-টেকনাফের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। বাকিদের নিবন্ধন করে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হবে।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও প্রায় ৪২০০ জন রোহিঙ্গা তুমব্রুর শূন্যরেখায় ক্যাম্প গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসলেও গত ১৮ জানুয়ারি দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আগুন দেয়া হলে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যায় ক্যাম্পটি।শূন্যরেখার ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।