স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ

স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ

নাটোরে স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি তামিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ সকালে র‌্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে গতরাত ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকায় নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। সে নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর পাবনা পাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান, গত এক বছর পূর্বে অত্র মামলার তামিমের ৮ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে কথাবার্তা হতো তাদের। এর সূত্র ধরে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে তার গ্রামে নিয়ে আসে। পরে তামিম ও তার সহযোগী মাটিয়াপাড়া গ্রামের মান্নানের ছেলে মজিদ (২৬) ও চানপুর গ্রামের সোনাউল্যাহের ছেলে সিরাজুল মেয়েটিকে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ভোরে রাজশাহীগামী বাসে তুলে দেয়ার সময় মেয়েটিকে অস্বাভাবিক দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মেয়ের বাবা নাটোর সদর থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে, পরে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে প্রধান আসামি পালিয়ে থাকায় তা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। গতরাতে তাকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র‌্যাব।