শহীদ মিনারকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে: বিএনপি মহাসচিব

শহীদ মিনারকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে: বিএনপি মহাসচিব

মহান ভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মতো পবিত্র স্থানকেও দলবাজির কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন সংগঠনকে প্রভাত ফেরীর লাইনে না দাঁড়িয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও সংগঠনের আগে যেতে দেয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে চরম বিশৃঙ্খলা, সমন্বয়হীনতা ও বিভিন্ন সংগঠনের পুষ্পার্ঘ অর্পণ কর্মসূচিতে অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে সমন্বয় ও শৃঙ্খলা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এ বছর উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচির সময়সূচি পেছানো হলেও আওয়ামী লীগ রহস্যজনক কারণে তাদের প্রভাত ফেরীর সময় ও রুট পরিবর্তন করে বিএনপির ঘোষিত প্রভাত ফেরীকে প্রলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালায়।

তিনি বলেন, বিএনপি সকাল সাড়ে সাতটায় বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে প্রভাত ফেরী শুরু করার ৫/৬ ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছাতে ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ অন্যান্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিমের ন্যাক্কারজনক হামলার শিকার হতে হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। আর এ কারণেই শিক্ষার্থীসহ জনগণের সেবা ও নিরাপত্তা দেওয়াই এইসব প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। কিন্তু রাষ্ট্র যেমন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়েও সরকার তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। আর তাই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন দূরের কথা, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে গেলেও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও জনগণের ওপর তারা পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মতো বর্বরোচিত কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ ধরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।