গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেল

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেল

রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক। 
নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন-

১. কুমিল্লার মেঘনা থানার মো. মমিনের ছেলে মো. সুমন (২১), তিনি ঢাকার বংশালের সুরি টোলাইয় থাকতেন। তার বাবা মমিন জানান,  ১০-১২ দিন আগে তিনি কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন।

২. বরিশালের কাজির হাট থানার চর সন্তোষপুর গ্রামের মৃত দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা (৩৫)। তিনি ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন, থাকতেন নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরীতে। 

৩. পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ীর মোশাররফ হোসেনের ছেলে মুনসুর হোসেন (৪০)। 

৪. আলু বাজারের ৯৭ লুৎফর রহমান লেনের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪২)। 

৫. চাঁদপুরের মতলবের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৩)। 

৬. কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চৈনকুটিয়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত (১৮)। 

৭. চকবাজার থানার আবুল হাসেমের ছেলে মমিনুল ইসলাম (৩৮)। 

৮. চকবাজারের মমিনুল ইসলামের স্ত্রী নদী বেগম (৩৬)। 

৯. মুন্সিগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিন আকনের মাঈন উদ্দিন (৫০)। 

১০. বংশালের ৪৭ নং কে পি ঘোষ স্ট্রিটের ইউনুছ হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৫)। 

১১. মানিকগঞ্জ সদরের চর বেউথা গ্রামের মৃত শেখ সাহেব আলীর ছেলে ওবায়দুল হাসান বাবুল(৫৫)। 

১২. মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার বালুয়া কান্দি গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪)। 

১৩. বংশালের ১৮/১ আগামাসি লেনের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী আবৃতি বেগম(৭০)। 

১৪. রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীর হাজারীবাগের মো. ইদ্রিস (৬০)। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। 

১৫. মো. হৃদয় (২০)। তিনি সিদ্দিক বাজারের জাবেদ গলিতে থাকতেন। চাকরি করতেন স্যানেটারি দোকানে।

১৬. মো. সম্রাট। তিনি বংশালে পরিবার নিয়ে থাকতেন। কাজ করতেন দুর্ঘটনাকবলিত ভবনের নিচতলায়। 

আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে একটি সাত তলা ভবনের বেসমেন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ৭ তলা ভবনের পাশে আরেকটি ৫ তলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো ভবনই ধসে পড়েনি। সাত তলা ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি দোকান ছিল। তার ওপরের কয়েক তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস রয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রক্তদানে আগ্রহীদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।