আমরা এখনও বলতে পারছি না, কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস

আমরা এখনও বলতে পারছি না, কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেছেন, ‘যখন বিস্ফোরণ হয়েছিল— তখন মার্কেটটি চালু ছিল। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ছিল, তাদের দোকান খোলা ছিল। কর্মচারীরা ছিল এবং ক্রেতারা ছিল। এজন্য আমরা বলতে পারছি না, এখনও কত জন ভেতরে রয়েছে। আমরা আমাদের উদ্ধার অভিযান চালাবো। তার আগে এটিকে স্টেবল করতে হবে। ভবনের কলামগুলো ভেঙে গিয়েছে, সেগুলো স্টেবল করতে হবে। আমরা এখনও বলতে পারছি না, কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে।’

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বেসমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর অনেকটাই ধসে গেছে। বিল্ডিংয়ের কলামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঢুকতে পারছেন না।’

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, সিদ্দিক বাজারের সাত তলা ভবনে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষজ্ঞ দলও কাজ করছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে আসা যাবে। 

রাজউক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের ওপেনিয়ন নিয়েছি। এ অবস্থায় বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ, সেহেতু এই মুহূর্তে আমরা ভেতরে ঢুকতে পারছি না। সেনাবাহিনী থেকে সাপোর্ট নেওয়া হচ্ছে এটিকে রিএনফোর্সমেন্ট করে, যেটা আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ভাষায় শরিক বলি। সেটা করে পরবর্তী সময়ে আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবো। আশেপাশে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।’

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘স্থানীয় ভবন মালিকদের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, নিচে কোনও গ্যাসের লাইন ছিল না। তবে পানির লাইন ছিল এবং পানির রিজার্ভার ছিল। এজন্য আমরা এখনও বলতে পারছি না যে, বিস্ফোরণের কারণটা কী। সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল এসেছে। অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা ওনারা এসব বিষয়ে তদন্ত করবেন। তদন্ত শেষ হলে পরবর্তী সময়ে আপনাদের জানাবো, একটু সময় লাগবে।’