বিএসএফের বুলেটে চোখ হারালো বাংলাদেশি স্কুলছাত্র

বিএসএফের বুলেটে চোখ হারালো বাংলাদেশি স্কুলছাত্র

কুড়িগ্রাম, ১১ মে (জাস্ট নিউজ) : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে আহত বাংলাদেশি স্কুলছাত্র রাসেল মিয়া (১৫) ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। সে ওই চোখ দিয়ে কখনই আর পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে না। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রাসেল মিয়ার বড় ভাই রুবেল ইসলাম এই তথ্য জানান।

আহত রাসেল মিয়া বর্তমানে ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারী গ্রামে। আব্দুল হানিফ মিয়ার ছেলে ও বালারহাট আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রাসেল।

রাসেলের ভাই জানান, ৩০ এপ্রিল বিকেলে ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের ২০ গজ অভ্যন্তরে গবাদি পশুর ঘাস সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে রাসেল আহত হয়। ঘটনার দিনই রাসেলকে রংপুরের প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৪ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, চোখ নষ্ট হওয়ার খবর জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে স্কুলছাত্র রাসেল। ওই হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুধু চোখের জলে বুক ভাসাচ্ছে।

রাসেল মিয়ার বড় ভাই রুবেল ইসলাম জানান, ছোট ভাই রাসেল মিয়ার এক চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। অপর চোখে সামান্য দৃষ্টি শক্তি রয়েছে মাত্র। ভারতীয় বিএসএফ শুধু রাসেলের চোখ নয়, তার পুরো ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। রাসেলের মুখমণ্ডলেও এখনও প্রায় ৪০টিরও বেশি স্প্রিন্টারের চিহ্ন রয়েছে, যেগুলো অপারেশন ছাড়া বের করা সম্ভব নয়। আমরা বর্তমানে তার চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি।

রাসেলের বাবা আব্দুল হানিফ জানান, গত কয়েকদিনেই ছেলের চিকিৎসা বাবদ ধার-দেনা ও গরু-ছাগল বিক্রি এবং শেষ সম্বল ৩০ শতক জমি বন্ধকের টাকাসহ মোট দেড় লাখ টাকা চলে গেল। তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার আবেদন জানান তিনি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৫৩ঘ.)