নির্দিষ্ট সময়ের ২-১ মাস আগে হলেও নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ!

নির্দিষ্ট সময়ের ২-১ মাস আগে হলেও নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ!

নির্ধারিত সময়ের দুই-এক মাস আগে হলেও নির্বাচন করার প্রস্ততি যেন নির্বাচন কমিশনের থাকে সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দৈনিক যুগান্তরের এক রিপোর্ট এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখব। সংবিধান অনুযায়ী সময়ে যেন নির্বাচন করতে পারি। সংবিধানে নির্দিষ্ট সময়ের আগেও নির্বাচন হতে পারে এমন প্রভিশন আছে। নির্দিষ্ট সময়ের দু-এক মাস আগে ভোট হলেও নির্বাচন করার প্রস্তুতি যেন ইসির থাকে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপটে নির্বাচনি সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা হয়ে থাকে, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব নির্দেশনা দেন সিইসি। সভায় পক্ষপাতহীন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের ওপর জোর দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, সভায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনে কী কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ আছে তা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান সিইসি। একইসঙ্গে তাদের কাছে ভোট সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে করণীয় কী সে বিষয়ে পরামর্শও নেন।

সভায় ইসি সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের কয়েক কর্মকর্তা তাদের বক্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান।

আচরণবিধি লঙ্ঘন বা নির্বাচনি অভিযোগ জানাতে ৯৯৯-এর মতো হটলাইন চালুর পরামর্শ দেন। সভায় ভারতের ভোটগ্রহণের উদাহরণ নিয়েও আলোচনা হয়। নির্বাচনে প্রশাসনের বাইরে অন্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও আলোচনা হয়। ইসি সূত্র জানায়, এটি নির্বাচন কমিশনের মার্চের সমন্বয় সভা ছিল। মাসিক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।