ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

বৃষ্টিহীন চৈত্রের তপ্তদিন পেরিয়ে বৈশাখের শুরুতেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছুঁয়েছে ঢাকা। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে টানা তাপপ্রাহের মধ্যে শুক্রবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

১৯৬০ সালের পরে ঢাকায় এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। ১৯৬০ সালের এপ্রিলে ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে; সেটা রেকর্ড শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, নিকট সময়ে ৯ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।

মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা দেশই। ঘরে-বাইরে অসহনীয় গরম, বাতাসে যেন আগুনের হল্কা।

শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাও এক দশকের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। ২০১০ সালে রাজশাহীতে পারদ উঠেছিল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতেই ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, যা দেশে এ যাবৎকালের রেকর্ড। 

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, “বাংলাদেশ এপ্রিল উষ্ণতম মাস। দেশের প্রায় সর্বত্র এখন তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। টানা ১১ দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে তিন দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
“একটানা অনেকদিন ধরে বৃষ্টি নেই। বাতাসে জলীয়বাষ্পও নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। আরও দুয়েকদিন এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।”

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এখন দেশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ বইছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

“দিনের তাপমাত্রা এখনও বাড়ছে, তবে রাতের তাপমাত্রা তেমন নয়। দুয়েকদিন পর হালকা ঝড়-বৃষ্টির আভাস থাকলেও তেমন সুখবর নেই।”

তিনি জানান, ১৬-১৭ এপ্রিলের দিকে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে, বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। তবে গরমের এই দাপট অব্যাহত থাকবে। তবে সপ্তাহের শেষে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকতে পারে। এপ্রিলের শেষে ভারি বর্ষণেরও আভাস রয়েছে।