সরকারের পতনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: বিএনপি মহাসচিব

সরকারের পতনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: বিএনপি মহাসচিব

সবকিছু ধ্বংস করে সমাজকে বিভক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে। এখন আর সময় নেই। সরকারের পতনে এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘গণবিচ্ছিন্ন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে অবস্থা করেছে, ইতিপূর্বে কখনো তা লক্ষ করিনি। এখানে এখন আর সরকারকে সেন্সর দিতে হয় না। সেলফ সেন্সরশিপ হয়ে যায়। কারণ, সবাই ভাবেন, এটা লেখা যাবে কি যাবে না। লিখলে আবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে কি না।’

অনেক সাংবাদিক আছেন, যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঝুলছেন বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এবার কারাগারে গিয়ে দেখলাম অনেক যুবক, তরুণ, এমনকি অপরিণত বয়সের ছেলে, আঠারো হয়নি এখনো, তারাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটকা পড়েছে। জেলের মধ্যে আছে।’

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করে এখন এমন অবস্থা করা হয়েছে যে এক হয়ে লড়াই করবেন, তারও সুযোগ রাখা হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য মুক্ত যে গণমাধ্যম দরকার, বাক্‌স্বাধীনতা দরকার, সেটা নেই।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ভয়াবহ এই দানবকে রুখতে না পারলে গোটা রাষ্ট্র তছনছ হয়ে যাবে। জাতি তচনছ হয়ে যাবে। স্বাধীনতা তচনছ হয়ে যাবে। আমাদের যে ইতিহাস, কৃষ্টি, ঐতিহ্য—সবকিছু এরা বিকৃত করে ফেলেছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের যে বই দেওয়া হয়েছে, সেখানে ঐতিহ্য পুরোপুরিভাবে নেই। সেটাকেও বিনষ্ট করা হচ্ছে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহের সভাপতিত্বে ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এহসানুল মাহমুদ জুবায়ের, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন। ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান, এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, মুরসালীন নোমানি, বাকের হোসাইন প্রমুখ।