ফেনীতে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা-ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ

ফেনীতে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা-ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’ বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রোববার রাতে একদল মানুষ মিছিল নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাগলনাইয়া বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের ছাগলনাইয়া বাজার অংশে অবস্থান নিলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে লোকজন সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদ্বীপ রায়।

ছাগলনাইয়া পৌর শহরের ব্যবসায়ী বনি আমিনসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ছাগলনাইয়া পৌর শহরসহ পুরো উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিহীন দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে মানুষ। বাসা-বাড়ি ও মসজিদে পানির জন্য হাহাকার চলছে। ইফতার, তারাবি, সেহরি ও নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় পবিত্র মাহে রমজান পালন এবং ইবাদত করতে সমস্যা হচ্ছে মানুষের। বিপনি বিতানগুলোতে কমে গেছে বেচা-কেনা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলছে না। যার কারণে উত্তেজিত জনতা রাতে মিছিল সহকারে গিয়ে ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালায়।

ছাগলনাইয়া বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে বিক্ষুব্ধ দুই সহস্রাধিক মানুষ বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র, দরজা ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। এসময় ভয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।

হামলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হয়নি।

তীব্র লোডশেডিংয়ের বিষয়ে ডিজিএম জানায়, উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে প্রাপ্তি কম হওয়ায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এতে তাদের করার কিছুই নেই।

ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদ্বীপ রায় আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা চালায়। হামলার পর বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ থেকে অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।