ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ শেষে এবার অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলায়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ টানা ১৫ দিনের মতো এ অফিসের আওতাধীন এলাকাসমূহে কখনো দেশের সর্বোচ্চ আবার কখনো দ্বিতীয় স্থানের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সহজে দেখা মিলছে না বৃষ্টির। এবারের গরমে ভিন্নমাত্রা রয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তাই তাপদাহের মধ্যে ঠোট শুকিয়ে ও ফেটে যাচ্ছে। বাতাসের জ্বলীয়বাষ্প কম থাকায় মূলত এমন হচ্ছে।

সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে তীব্র হচ্ছে রোদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুনঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। গত ১৫ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি জানান, ইতোপূর্বে ঈশ্বরদীতে এত বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়নি।

এদিকে, প্রখর খরতাপে প্রায় প্রতিদিন রূপপুর পরমাণবিক প্রকল্পের শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

টানা তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাপমাত্রাজনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রখর রোদের কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। বিশেষকরে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে তীব্র তাপদাহের কারণে অনেককে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন। কষ্টও বেড়েছে রোজাদারদেরও।

তাপদাহে লিচু ও আমের গুটি, ধানের শীষ ঝরে যাচ্ছে। সবজি ক্ষেতসহ সকল প্রকার চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আসমা খান জানান, তীব্র খরতাপে মার্কেট করতে আসা নারীদের অনেক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

তিনি জানান, এ তাপদাহে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া উচিত নয়। এ অবস্থায় বেশি বেশি ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ভিজিয়ে রাখা এবং বেশি বেশি তরল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন নেয়া দরকার।