কমলাপুর স্টেশনে চলছে কড়া চেকিং, যাত্রীদের ভিড়

কমলাপুর স্টেশনে চলছে কড়া চেকিং, যাত্রীদের ভিড়

চলছে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সড়কের পাশাপাশি যাত্রীদের চাপ বেড়েছে রেলপথেও।

আর স্টেশনে চলছে টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে ৩ স্তরের কড়া চেকিং।

এবারই প্রথম ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৭ এপ্রিল থেকে অনলাইনে শুরু হয় নিজের এনআইডির (জাতীয় পরিচয়পত্র) মাধ্যমে ভ্রমণেচ্ছুদের টিকিট প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় টিকিটের সঙ্গে এনআইডি মিলিয়ে তারপরেই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য স্টেশনের একেবারে বাইরে থেকেই যাত্রীদের এনআইডি এবং টিকিটের সঙ্গে মিলিয়ে তারপর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল। আগে যেখানে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেক করা হতো, সেখানে এখন যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই টিকিট নিশ্চিত করতে হচ্ছে।

এদিন সকালে দিনাজপুর অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ে সকাল ৭টায়, উত্তরবঙ্গগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল সাড়ে ৭টায়, সেটি ৭টা ৪০ মিনিটে স্টেশন ত্যাগ করে। চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ৭টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ৭টা ৫৫ মিনিটে, একই গন্ত্যব্যে সকাল ৮টায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং সকাল ৮:১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৮টা ৩০ মিনিটে সেটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়। এছাড়া ঈদযাত্রায় সর্বমোট ৫৫টি ট্রেন ছেড়ে যাবার কথা রয়েছে। যাতে অন্তত ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই করতে পেরেছেন তারা, তাদের প্রত্যাশা যাবার পথের মতো ফিরতি যাত্রাতেও নির্বিঘ্নে ফিরতে পারবেন তারা। এছাড়া, টিকিট ছাড়া ভ্রমণ না করতে পারার বিষয়ে তদারকি সব সময়ের জন্য চেয়েছেন যাত্রীরা৷

এদিকে, ট্রেনের বগিগুলোতে স্ট্যান্ডিং টিকিটের তেমন কোনো যাত্রী দেখা যায়নি। এবারের ঈদে যাত্রীদের সুবিধার্থে শোভন শ্রেণির (নন এসি) মোট আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট (স্ট্যান্ডিং) যাত্রার দিন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।