ঢাকায় ভিসা দুর্নীতি মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে

ঢাকায় ভিসা দুর্নীতি মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের ২ কর্মকর্তা রিমান্ডে

বাংলাদেশি পর্যটক ও শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুস নেওয়ার সন্দেহে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের দুই এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কর্মকর্তাকে। দেশটির ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আটকদের একজন পুরুষ, অন্যজন নারী।

তিন দিনের জিজ্ঞাসাদের পর বৃহস্পতিবার তাদের বাংলাদেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। তবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত।

সূত্র বলছে, এমএসিসি এ দুই ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন খুঁজে পেয়েছে। তাদের ২০টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে এমএসিসি। এ সম্পদের মধ্যে আটটি জমি রয়েছে।

এমএসিসি প্রধান কমিশনার আজম বাকি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এমএসিসি আইনের ধারা এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং, অ্যান্টি-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিংয়ের ধারায় তদন্ত করা হচ্ছে।

আজম বলেন, এরপর আরও বেশ কয়েকজন যে গ্রেফতার হবেন না তা আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না। তদন্তে সাহায্য করার জন্য সিতি লিয়ানা সাকিজান নামে এক নারীকে খোঁজা হচ্ছে। যাদের কাছে ওই নারীর তথ্য রয়েছে তাদের তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এর আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ঘটনায় মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমারকে এমএসিসি দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। এমএসিসি তদন্তের জন্য গত সপ্তাহে শিবকুমারের দুই সিনিয়র অফিসার এবং একজন ব্যবসায়ীকে আটক করেছিল। সোমবার তিনজনকে রিমান্ড থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।