যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সংশোধন হচ্ছে রূপপুর প্রকল্পের ঋণচুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সংশোধন হচ্ছে রূপপুর প্রকল্পের ঋণচুক্তি

ইউক্রেন যুদ্ধে মদদ দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ঠিকাদার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রোসাটমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর। ওয়াশিংটন থেকে নিষেধাজ্ঞার নতুন তালিকার বিষয়ে কূটনীতিক নোটে ঢাকাকে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যাসহ ওয়াশিংটন জানায়, তালিকাভুক্ত নতুন দুই প্রতিষ্ঠান রোসাটম এবং সহযোগী সংগঠন নিকিট এটমস্ট্রোয় জেএসসি। যার সাথে অতীতে লেনদেন করেছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা দিলেও রূপপুরের চলমান ও আগামীর লেনদেন ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সহযোগিতার কথা! কি বুঝিয়েছে দূতাবাস? জানতে চাইলে ই-মেইলে দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান শন ম্যাকান্টাসের জবাব দেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নীতি লঙ্ঘন না হলে রূপপুরের ঋণ বাংলাদেশ কিভাবে পরিশোধ করলো, তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই দেশটির। যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বাংলাদেশ তার বাণিজ্যিক অংশীদার বেছে নেবে বিচক্ষণতার সঙ্গে। ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে শন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যম ব্যবহার করে রাশিয়া যেন সুবিধা না নিতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার কথা মাথায় রেখে বিকল্প নিরাপদ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া। ঋণ পরিশোধে বহুমাত্রিক জটিলতা কাটাতে প্রয়োজনে ঋণ চুক্তি সংশোধনে একমত হয়েছে দুই দেশ। গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ-রাশিয়া আন্তঃসরকার কমিশন বৈঠকে দুই দেশ একমত হয়। বৈঠকে আইজিসিএ এর আওতায় একটি আলাদা জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠনে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। যে কমিটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ দেখভাল করবে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণের অর্থের ব্যবহার নিয়ে সমস্যার সমাধান করবে।