ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি টিআইবির

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি টিআইবির

গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অবাধ তথ্য ও মত প্রকাশের অধিকার, মুক্তচিন্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

৩ মে  বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হলো, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে বিনা বাধায় তার ওপর অর্পিত ভূমিকা পালন করতে পারে, তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও ভয়হীন-স্বাধীন সাংবাদিকতা ঠিক ততোটাই কমেছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২-এ এক বছরে ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৬২তে বাংলাদেশের নেমে যাওয়া প্রমাণ করে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটা আতঙ্কজনক হারে অবনমন ঘটেছে।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য গবেষণা বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বলবৎ হওয়ার পর থেকে এই আইনে যত মামলা হয়েছে, তার প্রতি চারটির একটিই হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এসব মামলার বাদীদের বড় অংশই সরকার ও ক্ষমতাসীন দলসংশ্লিষ্ট। তাই এটি বলা কোনোমতেই অত্যুক্তি হবে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রহসনের নামান্তর। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ সময় পর এই আইনে মামলা রুজু করা, অজামিনযোগ্য ধারায় আটক রেখে অভিযোগ প্রমাণের আগেই দীর্ঘ সময় কারাগারে আটকে রাখা সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ অবস্থায় অবিলম্বে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।’

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সংবাদকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান টিআইবি নির্বাহী পরিচালক। তিনি গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ, কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা ও নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপৎকালীন ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিতের জন্য সরকার, মালিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের আহ্বান জানান।