ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী কদিন বাড়বে তাপমাত্রা

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী কদিন বাড়বে তাপমাত্রা

বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে ঘনীভূত হচ্ছে মেঘ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রোববার নাগাদ সৃষ্ট ঘূর্ণি বাতাস নিম্নচাপে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে মোখায় রূপ নেবে কিনা তা জানতে আরও সময় লাগবে। তবে এর প্রভাবে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়বে।

বছরের যে চারমাস বাংলাদেশ উপকূলে ঝড়-ঝাপ্টা বয়ে যায় তাতে চলতি এই মে মাস অন্যতম। আবারও এই মে মাসেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস মতে যার ঘূর্ণাবর্ত তৈরী হবে রোববার নাগাদ। এরপর লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে সময় লাগতে পারে আরও দুই তিন দিন।

ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে ঘূর্ণিবহের আবর্তন তৈরি হয়েছে সেটি শক্তিমত্তা অর্জন করে লঘুচাপ তৈরি হবে এবং লঘু চাপ আরও ঘণীভূত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এর আগে এই মে মাসের ঘূর্ণিঝড়ের বেশির ভাগই গেছে মিয়ানমার উপকূলের দিকে। আসন্ন নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ও সেদিকেই যাবে কি-না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এর প্রভাবে আগামী কয়েকদিন বাড়বে তাপমাত্রা ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মে মাসের বৈশিষ্ট্য হলো যে ঘূর্ণিঝড়গুলো সাধারণত বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় মিয়ানমারের দিকে ধাবিত হয়। কোন কোনটি বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, হাতিয়া, সন্দ্বীপ বরাবরও পার হয়েছে অতীতে। আমাদের যে পরবর্তী যে সপ্তাহ আসছে সে সপ্তাহে তাপমাত্রার একটু উর্ধ্বগতি থাকবে এবং মানুষের অসস্তিবোধ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া দফতরও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়। তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে সোমবার সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ যত উত্তর-পূর্বে এগুবে ততই শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হবে। যা আগামী বুধবার নাগাদ মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে ভারতের উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেল ৩২ বছরে মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে ১৬টি আর নিম্নচাপ ৯টি।