গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে আশরাফুল আলম (৩৩) নামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ মে) রাত ৯টায় গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার হযরত আলীর ভাড়া দেয়া ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে নিহতের মা-বাবা পলাতক রয়েছে।
আশরাফুল আলম নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার কানুহারী (করাচাপুর) গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। তিনি টঙ্গী এলাকায় থাকতেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওমর ফারুক স্ত্রীকে নিয়ে বাঘের বাজার এলাকার হযরত আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় একটি প্যানটাক্স পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, আশরাফুল নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি টঙ্গী থেকে প্রায়ই মা-বাবার কাছে এসে তাকে টাকা দেয়ার জন্য তাদের সাথে ঝগড়া ও মারধর করতেন। গত শুক্রবার তিনি বাবার ভাড়া বাসায় আসেন। এ সময় টাকার জন্য তার মাকে মারধর করেন।
ওসি আরো জানান, পরদিন সকাল থেকে তাদের ঘর বাইরে থেকে তালা দেয়া অবস্থায় ছিল। সন্ধ্যা হলেও তারা না আসায় আশপাশের লোকদের সন্দেহ হয়। পরে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও পুলিশকে খবর দেয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৯টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় খাটের নিচে তার গলা কাটা লাশ ও একটি চাপাতি পড়ে থাকতে দেখে। ধারণা করা হচ্ছে ছেলের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে মা-বাবা শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় তাকে ঘুমের মধ্যে গলা কেটে হত্যা করে থাকতে পারে। পরে রাতেই ঘরে তালা দিয়ে মা-বাবা পালিয়ে যান।