এলএনজি সরবরাহ বন্ধ: জ্বলছে না চুলা, বন্ধ সিএনজি স্টেশন, বেড়েছে লোডশেডিং

এলএনজি সরবরাহ বন্ধ: জ্বলছে না চুলা, বন্ধ সিএনজি স্টেশন, বেড়েছে লোডশেডিং

ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত না হানলেও, এর প্রভাবে এলএনজি সরবরাহ বন্ধে চট্টগ্রামে প্রায় সব বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। ফলে রান্না থেকে দৈনন্দিন সব কাজই স্থবির। অনেকে দুবেলা খাবার কিনে আনছেন বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে।

গ্যাসের অভাবে বন্ধ সব সিএনজি স্টেশনও। ফলে গ্যাস নিতে পারছে না কোন যানবাহন। এতে রাস্তায় গণপরিবহনের চাপ কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে মানুষ। গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে শিল্পখাতও।

সিএনজি পরিবহনের চালকরা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস থেকে যদি এখন এলএনজি করতে যাই তবে সেখানে খরচ আছে। এদিকে আমরা ১০০ টাকার ভাড়া যদি ১৫০ টাকা চাই তবে তারা যেতে চায় না, ব্যবহারও খারাপ করে। এখন আমরা কই যাই, তাই গাড়িই বন্ধ রাখছি।

এদিকে গণপরিবহন না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

চট্টগ্রামে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। যার ৮০ শতাংশই দেয়া হতো এলএনজির মাধ্যমে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মাতারবাড়ির টার্মিনাল থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় সংকট হয়েছে অসহনীয়। যা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ডিজিএম প্রকৌশলী মো. আবু তাহের।

গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়েছে বিদ্যুত খাতেও। উৎপাদন কমে যাওয়ায় তীব্র হয়েছে লোডশেডিং। চট্টগ্রামে প্রতিদিন ১১শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে এখন লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ৩শ মেগাওয়াট।