প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা

‘রোহিঙ্গাদের স্থানীয় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই’

‘রোহিঙ্গাদের স্থানীয় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই’

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সমর্থন ও সহায়তা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে-রোহিঙ্গাদের স্থানীয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই।

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় সাড়াদান সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, তুরস্ক, কাতার, কুয়েত, ওমান, ইরাক, ইরান ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশনপ্রধান এ সভায় যোগ দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, সংকটের একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ স্থায়ী প্রত্যাবাসনের মধ্যে নিহিত।

বৈঠকে সৌদি আরব, ইরান, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, কাতার, কুয়েত ও চীনের রাষ্ট্রদূত নিজ নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন। তারা রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের যে কোনো উদ্যোগে পাশে থেকে সমর্থন ও সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ও খাদ্য সহায়তা কমানোর বিষয়টি তুলে ধরেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি। তারা সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোহিঙ্গাদের সহায়তার আহ্বান জানান।