রাজধানীর হোটেল থেকে কাঁচা মরিচ কার্যত উধাও

রাজধানীর হোটেল থেকে কাঁচা মরিচ কার্যত উধাও

রাজধানীর খুচরা বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতে তাই হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন খাবার হোটেলেও। আগে হোটেলগুলোতে খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ সালাদ হিসেবে দেওয়া হলেও দাম বাড়ার কারণে তা থেকে বিরত থাকছেন মালিকরা।

রাজধানীর কয়েকটি খাবার হোটেলে ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের খাবারের সঙ্গে শসা ও গাজরের সালাদ দেওয়া হলেও কাঁচা মরিচ দেওয়া হচ্ছে না। তবে কোনো ক্রেতা মরিচ চাইলে দেওয়া হচ্ছে হিসেব করে। মরিচের ব্যবহার কমাচ্ছেন হোটেল মালিকরা।

হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মরিচের দাম বাড়ার কারণে তাঁরা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। কেউ না চাইলে তাঁকে মরিচ দিচ্ছেন না।

রাজধানীর চানখাঁরপুলে অবস্থিত পেনাং রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম জানান, ভাত, মাছ বা মাংসের সঙ্গে সালাদ হিসেবে শসা কিংবা গাজর কেটে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে মরিচ বা পেঁয়াজ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে মরিচের দাম বাড়ার কারণে তা কমানো হয়েছে। 

ভর্তা-বাড়ি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, দাম বৃদ্ধির কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ আপাতত সরবরাহ করা হচ্ছে না। তবে ক্রেতা চাইলে দু-একটা দিতে হয়। ক্রেতা অনেক হলে চাহিদার ভিত্তিতে মাথাপ্রতি একটি বা দুইটি করে মরিচ দিচ্ছি। প্রায় একই কথা জানায় কাঁটাবনে অবস্থিত মামা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, অষ্টব্যঞ্জন, বকশীবাজার সিগন্যালে অবস্থিত পানশী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।

তবে এ নিয়ে কয়েক জায়গায় ক্রেতাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। তাঁদের ভাষ্য, ভাত, মাছ বা মাংসের সঙ্গে লেবু এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে খেলে স্বাদ অনেকটা বাড়ে। অনেকেই ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এখন কাঁচামরিচ চেয়ে নিতে হয়, না চাইলে দিচ্ছে না। চাওয়ার পর দিলেও অল্প দিচ্ছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন তুষার জানান, ঈদের ছুটিতে হল বন্ধ থাকার কারণে হলের ক্যান্টিনগুলোও বন্ধ। আমরা যাঁরা ঈদের মধ্যে হলে ছিলাম, তাঁদের বাইরে বিভিন্ন হোটেলে খেতে হয়েছে। সম্প্রতি কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কথা বলে হোটেলগুলো কাঁচামরিচ দেয় না বললেই চলে।