সুনামগঞ্জে টানা বর্ষণে বাড়ছে পানি, বিপর্যস্ত জনজীবন

সুনামগঞ্জে টানা বর্ষণে বাড়ছে পানি, বিপর্যস্ত জনজীবন

সুনামগঞ্জে টানা বর্ষণে পানি বেড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ঈদের আগের দিন থেকে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, বৌলাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মুসলধারের বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানিতে সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভপুর, সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ সহ সব কয়টি উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির ভয় সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে।

সুনামগঞ্জে গত বছর এ সময় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সব কয়টি উপজেলা ও হাওরের বিচ্ছিন্ন পল্লী প্লাবিত হয়েছিল। কয়েক দিন বিদ্যুৎহীন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে ছিল। ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত মাথায় নিয়ে হাজারো মানুষ ছোটেন আশ্রয়ের খুঁজে। উঁচু ভবন, আত্মীয়স্বজনের বাড়িঘর, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেন মানুষ। চার দিন সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জে সরকারি হিসাবে কমবেশি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। বানের পানিতে ১৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।

প্রায় ৫০ হাজার ঘর-বাড়ি সম্পূভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি এখন তাড়া করছে সুনামগঞ্জবাসীকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত পাঁচ দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে সুরমা, কুশিয়ারা, জাদুকাটা, বৌলাই নদী সহ ছোট-বড় সব নদীর পানি তুলনামূলক ভাবে বেড়েছে।

ঈদের আগের দিন থেকে বৃহত্তর সিলেটের বেশিরভাগ এলাকায় ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সব নদীর পানি সুনামগঞ্জ জেলায় বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।