কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা

কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা

ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ার প্রভাব দেশের বাজারে পড়তে শুরু করেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১৬০ টাকা কমে ২০০ টাকায় নেমেছে। একদিন আগেও যা ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন দাম আরও কমার দাবি তাদের।

ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২ দুলাই) বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এর প্রভাবেই ইতোমধ্যে দাম কমতে শুরু করেছে। সোমবার (৩ জুলাই) ৬ দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি হয়নি।

হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাত পার হলেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছিল বাড়তে বাড়তে ৫০০ টাকা কেজিতে উঠে ছিল দাম। বাড়তি দামের কারণে কাঁচা মরিচ কেনা তো দূরের কথা দাম শুনতেও ভয় লাগছিল। দাম শুনেই হাতে যেন আগুনের ছোঁয়া লাগছিল। তবে সেই অবস্থা থেকে সরে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম ইতোমধ্যে কেজিতে ৩ ০০ টাকা কমে ২০০ টাকায় নেমে এসেছে। দাম কমার কারণে এখন একটু করে হলেও কিনতে পারছি, দাম যেন আরও কমে এই দাবি জানাচ্ছি। তবে এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়। ভারতীয় কাঁচা মরিচ এখনো বাজারেই আসেনি তার পরেও দাম কমছে।

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, প্রচণ্ড গরম ও তীব্র খরার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা মরিচের ফুল পরে যাওয়ায় ও গাছ নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে করে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। ভারত থেকে একদিন আমদানি হওয়ার পরেই ঈদের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ঈদের পর থেকেই কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠে। আমরাও মোকাম থেকে বাড়তি দামে ক্রয় করছিলাম যার কারণে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছিল। তবে ঈদের ছুটির পর রোববার থেকে আবারো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে মোকামগুলোতে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া স্থানীয় কিছু কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে।