ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জ হাসপাতালের মধ্যে কিশোরী (১৬) কে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহর মানিকপুর রোডে জেনারেল হাসপাতালের ছাদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ছাত্রলীগ নেতা শেখ শাকিলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ করেন।

অভিযুক্ত শেখ শাকিল মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা দুই নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সে উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও পরিবারের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ শহরের যুবলীরোড এলাকায় থাকেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর শিশুকালে তার বাবা মারা যায়। সংসারে ভরণপোষণের কেউ না থাকায় তার মা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আয়ার কাজ নেন। তখন থেকে মেয়ের নিরাপত্তার ভেবে ২৪ ঘন্টা মা মেয়েটিকে নিজের কাছে রাখতো। এর ধারাবাহিকতায় চাকরিতে থাকলো তার কাছে রাখতো। একারণে হাসপাতালের সবার কাছে মেয়েটি ছিল খুব পরিচিত। মেয়েটি ও সবাইকে চিনতো।

গত মঙ্গলবার রাতে মেয়েটি পরিচিতদের সঙ্গে হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করছিল। রাত ১২টার দিকে মেয়েটি হাসপাতালের দোতলায় উঠার সিঁড়িতে পরিচিত দুই ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল। সে সময় শেখ শাকিল সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই দুই ছেলেকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে মেয়েটিকে জোর করে টেনে-হিঁচড়ে হাসপাতালের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপরে মেয়েটিকে শাকিল ধমক দিয়ে বলে এ ঘটনা কাউকে বললে তার মাকে এবং তাকে মেরে ফেলবে। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শেখ শাকিলের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় শাকিল নামের একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ মনজুরুল আলম বলেন, এই আয়া আমাদের এখানে বেসিক হিসাবে চাকরি করতো। ঘটনাটির তদন্ত চলছে আমাদের পক্ষ থেকে। কিভাবে ঘটলো কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত আমরা তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছি। আমরা প্রশাসনের সাথে সার্বিকভাবে যোগাযোগ রাখছি।

মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা বলেন, শেখ শাকিল শহর ছাত্রলীগের নেতা হতে পারে। আমি তাকে চিনতে পারছি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাহলে শহর ছাত্রলীগকে এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে।