ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন : ‘ভাই একজন ভোটার আসছে’

ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন : ‘ভাই একজন ভোটার আসছে’

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান। ধনীদের বাস যে পাড়ায় তার পাশেই বৃহৎ একটি বস্তি এলাকা। আভিজাত্যের দিক থেকে আকাশ-পাতাল ফারাক হলেও ভোটের মাঠের চিত্রটা একই। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশির ভাগ কেন্দ্র ফাঁকা। ভোটারের জন্য অপেক্ষা করছেন নিরাপত্তাকর্মী, পোলিং এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসাররা।

টি এন্ড টি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে ছিলাম বেশ কিছু সময়। এখানে একজন ভোটার এলেন চারটি কক্ষেই ছড়িয়ে পড়ল বাতাসের মতো বার্তা- ভাই একজন ভোটার আসছে। অনেকটা আফসোসই মনে হল অন্য কক্ষে তার ভোট হওয়ায়। এক পুলিশ সদস্য বললেন, ভাই অই কেন্দ্রে যান ওখানে ভোটার আছে।

চলে এলাম টি এন্ড টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। গেটের বাইরে নৌকার ব্যাচ পরা কয়েকজন নীরবে বসে আছেন। ভিতরে পুলিশ আনসার বাহিনীর সদস্যরাও বসে অলস সময় পার করছেন।

ভোট কক্ষের ফ্যানগুলো যেন ঘুরছেই না। দায়িত্বরতরা রীতিমতো হাই তুলছেন।

সকালে বেশ ঘুরলাম কিছু সময়। আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত ভোট দেন গুলশান মডেল স্কুল এন্ড কলেজে। তিনি বললেন, বেলা বাড়বে ভোটার বাড়বে।

তা আর হয়নি। এমনকি আরাফাত চলে যাবার পর নেতাকর্মীদের ভিড়ও মিলিয়ে যায় সেই কেন্দ্র থেকে। বেলা গড়িয়ে দুপুর। অপেক্ষা শুধু ভোটারদের।

ঘড়িতে এখন বেলা ১টা। ঘড়ি চলছে। উড়ো খবর আসছে এই নির্বাচনের আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, কখনো শোনা যাচ্ছে হয়েছে আক্রমণ। তবে আটটি ভোট কেন্দ্রের বেশ ক'জন এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে তেমন কিছু তথ্য মেলেনি। কোন ভীতির মুখেও নেই তারা। তবে নৌকার এজেন্ট সব স্থানে মিললেও অন্যান্য প্রার্থীদের তা মিলছে না।