রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসকদের সারা দেশে দু'দিনের ধর্মঘট চলছে

রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসকদের সারা দেশে দু'দিনের ধর্মঘট চলছে

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় তিন চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে চেম্বারে রোগী দেখা এবং প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। এ কর্মসূচি আজ মঙ্গলবার শেষ হবে।

ঘোষণা দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার ও সার্জারি বন্ধের পাশাপাশি গাইনি চিকিৎসকরা রোগী না দেখাসহ প্যাথলজিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট দেখাও বন্ধ রাখেন। এতে দেশের লাখ লাখ রোগী পড়েন চরম বিপদে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগী জানতে পারেন, চিকিৎসকরা চেম্বার করছেন না। দুদিনের চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মসূচিকে অমানবিক বলছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ ১৮ই জুলাই চলমান ধর্মঘট শেষে আবারও বিএমএ'র সঙ্গে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানায় ওজিএসবি ও সকল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালনের কারণে অসুস্থ শিশু, মুমূর্ষু রোগী ও প্রসূতিদের নিয়ে অসহায় সময় পার করছেন স্বজনরা। চেম্বার বন্ধ থাকায় সারা দেশে অসংখ্য গর্ভবতী নারীসহ গাইনিকোলজিক্যাল সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আন্দোলনে থাকা চিকিৎসকরা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর নবজাতক ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় দুই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার বেআইনি দাবি করে এই কর্মসূচি পালন করছেন দেশের পেশাজীবী ৩৬টি সংগঠনের চিকিৎসকরা।

দেশের গাইনি চিকিৎসকদের সংগঠন অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) শনিবার কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করে। তাদের পাশাপাশি মেডিসিন, সার্জারিসহ ৩৬টি সংগঠনের প্রায় ৫০ হাজার চিকিৎসক এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হয় অচলাবস্থা।

এদিকে ওজিএসবি চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও। তারা বলছেন, প্রসূতি সেবা বন্ধ রাখা আর সাধারণ জ্বর উঠলে কিছু টেস্ট লিখে দেওয়া এক নয়।

চিকিৎসকের মূল কাজ মানবতার সেবা। মানুষের জীবন রক্ষায় অবদান রাখা। কোনোভাবেই রোগীকে মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দেয়া তাদের কাজ হতে পারে না।

একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, কোনো চিকিৎসক সংগঠন হুট করে এ ধরনের কর্মসূচি দিতে পারে না। রোগীকে জিম্মি করে এ ধরনের কর্মসূচি দেয়ার আগে সরকারের কাছে দাবি জানানোর সুযোগ র্ছিল। সেই দাবির অংশ হিসেবে তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ে স্মারকলিপি দিতে পারত। কিন্তু এর কোনোটিই না করে সরাসরি চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেয়া দেশের রোগীদের সঙ্গে বেইমানির শামিল। ওজিএসবির ঘোষিত কর্মসূচির আগে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দরকার ছিল বলে মন্তব্য করেন তারা।

জানা গেছে, সাধারণ মানের একটি ক্লিনিকেও প্রতিদিন গড়ে ছোট-বড় অন্তত ১০টি অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ের বড় হাসপাতালে ৩০ থেকে ৫০টি অপারেশন (ওটি) হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০টি। এর প্রতিটি হাসপাতালে গড়ে ১৫টি করে অস্ত্রোপচার হলেও দিনে প্রায় অর্ধলক্ষের বেশি অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। একইভাবে নিবন্ধিত প্রায় ১৫ হাজার হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারেও কয়েক লাখ রোগী চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ নিয়ে থাকেন। পেশাজীবী চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে দেশের লাখ লাখ রোগীর জরুরি সেবা ঝুঁকিতে পড়েছে।

এ বিষয়ে ওজিএসবি সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ বলেন, প্রাইভেট ক্লিনিকের আউটডোর চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে যে যার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার ও সার্জারি বন্ধের কর্মসূচিতে রোগীদের ভোগান্তি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, চিকিৎসকের মানবিক হওয়া খুব জরুরি। বড় চিকিৎসক হওয়ার চেয়ে মানবিক চিকিৎসক হওয়া খুব জরুরি। তাদের বোঝা উচিত, যে কাজটি করছেন সেটি সঠিক হচ্ছে কিনা। রোগী জিম্মি করা কোনো মানবিক কাজ নয়। সোমবার রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সেখানে কী কী বিষয় আছে, সেটা আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। খুব শিগগিরই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব, এ কথা আমরা চিকিৎসকদেরও বলেছি। তারা কর্মসূচি দিলেও আমাদের সরকারি হাসপাতালে সব ধরনের সেবা চালু আছে। আমার বিশ্বাস, এই সমস্যা থাকবে না। এই সমস্যা দু-একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আমরা কথা বলেছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে আটককৃত নারী চিকিৎসকদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সারা দেশে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা হারুন অর রশিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা, জনস্বাস্থ্য সংগঠক অনুপ কুন্ডু ও সামিউল আলম এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ ও ১৮ জুলাই দেশের ক্লিনিক্যাল চিকিৎসকদের ৩৬টি সংগঠনের ডাকে ১৭ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সব ধরনের চিকিৎসা, পরামর্শ ও অপারেশন বন্ধ করে দেয়া অত্যন্ত উদ্বেগের। এর ফলে ডেঙ্গুর বর্তমান বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসাও হুমকির মধ্যে পড়বে।

অভিযোগে ভিত্তিতে চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার না করার আহ্বান 
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠলেই তদন্ত ছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার না করার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসককে অনতিবিলম্বে জামিন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সোমবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব অল সোসাইটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সোসাইটি অব সার্জনসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা।

লিখিত বক্তব্যে আহমেদুল কবির বলেন, চিকিৎসায় অবহেলা আমরা কোনেভাবে সমর্থন করিনা। অবহেলা প্রমাণিত করার জন্য যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার বিপক্ষে আমরা নই। কিন্তু যেকোনো সভ্য দেশে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কারণে রোগীর মৃত্যু হলে তার জন্য মিডিয়া ট্রায়াল হয় না। সেখানে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে চিকিৎসক, রোগীর নিকট আত্মীয় ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়। সেই রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। সেখানে শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত ব্যতিরেকে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়না। তিনি বলেন, তদন্ত ছাড়া চিকিৎসককে পুলিশ কতৃর্ক হয়রানী বা গ্রেপ্তার হলে মুমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকগণ সাহস হারিয়ে ফেলবেন। এতে করে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই দেশের চিকিৎসক, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি রোগীদের স্বার্থে বিনা তদন্তে চিকিৎসক গ্রেপ্তারের মতো বেআইনী কাজ না করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে যথাযথ ভাবে বিবেচনা করতে চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সুসংহত করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

বর্নিত অবস্থায় জনসচেতনতা তৈরি এবং প্রচলিত আইন (পেনাল কোড ধারা-৮৮,৮৯,৩০৪,৩০৪ক) না মেনে শুধুমাত্র আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের মত অত্যন্ত গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সকল সোসাইটি শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রুটিন রোগী দেখা এবং রুটিন অপারেশন করা থেকে দুই দিন বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আহমেদুল কবির আরও বলেন, দেশের বিদ্যমার আইনে দন্ডবিধির ধারা ৮৮- ভালো উদ্দেশ্য বা রোগ উপশমের উদ্দেশ্যে সম্মতিসহ কোন রোগীর চিকিৎসা (অপারেশন ) করার সময় বা পরবর্তীতে যদি রোগীর মৃত্যু ঘটে তবে সেটি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা যাবে না।

তিনি জানান, সেন্ট্রালের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসকের জামিনের ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে সর্বমহলে যোগাযোগ করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।

চিকিৎসকদের কোনো ভুল ছিল কিনা খতিয়ে দেখতে ওজিএসবি (বাংলাদেশ অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনেকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ) কোনো তদন্ত করে কী? সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির নেতা অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, সেন্ট্রালের ঘটনায় ওজিএসবি একটি রিপোর্ট করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি পর্যালোচনা করে জানানো হবে।

অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, আমরা চাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হোক। এর জন্য দরকার নিরাপদ কর্মস্থল। যারা ভুল চিকিৎসা করছে আমরা তাদের পক্ষে না কিন্তু তাড়াহুড়া না করে কোন একজন যেনো নির্দোষ কেউ শাস্তি না পায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরেজমিনে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। আইসিইউ ও অস্ত্রোপচার ম্যানেজমেন্ট সংকট দেখায় সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্তের কথা বলা হয়। যা এখনো চলছে।

যেখানে লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা নেয় সেখানে একেবারে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ার মত কঠোর আন্দোলনে যাওয়া কতটা যৌক্তিক-এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. টিটু মিঞা বলেন, আমরা একবারে কঠোর অবস্থায় যাইনি। শুরুতে কালো ব্যাচ ধারণ, মানববন্ধন করেছি। এরপর আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু আমরা সরকারি হাসপাতালে এমন কর্মসূচি দেইনি। বেসরকারিতে জরুরি ও অন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত চেম্বারে বসছি না। আমরা কাউকে জিম্মি করিনি। আমরা বলতে চাই চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি অবৈধ। আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই, চিকিৎসকেরা মর্যাদা পাক এটাই চাই।

প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার এবং অপর এক চিকিৎসককে জামিন না দেয়ার প্রতিবাদে দুই দিন প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা এবং সার্জারি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় চিকিৎসকরা। শনিবার ওজিএসবি প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক সালমা রউফের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ ও ১৮ই জুলাই সবার প্রাইভেট চেম্বার ও প্রাইভেট অপারেশন বন্ধ থাকবে। ১৮ই জুলাই আবারও বিএমএর সঙ্গে বসে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ঢাকার বাইরে চরম দুর্ভোগে রোগীরা
শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশের অন্য মহানগর, জেলা ও উপজেলা শহরেও চিকিৎসকরা প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। আজও এ কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে। এমন অবস্থায় রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রোগীর ভিড় সামলাতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হয়েছে