বান্দরবানে ৩২২ কিলোমিটার সড়ক বিধ্বস্ত

বান্দরবানে ৩২২ কিলোমিটার সড়ক বিধ্বস্ত

বান্দরবানে সম্প্রতি বন্যার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)র প্রায় ৩শ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেখানে ব্রিজ, কালভার্টও রয়েছে। টানা তিনদিন বিভিন্ন সড়কে ছিল কোমর পানি। পানি নামার পর সড়কে ভেসে ওঠে বন্যার ক্ষত। বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দে ভরা সড়কে চলাচলে মানুষকে এখন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বান্দরবান এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ই আগস্ট শুরু হওয়া বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার খানসামা-বাঘমারা, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল, থানচি-বলিপাড়া, রুমা-পলিকা পাড়া, আলীকদম-দোছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু ডিসি সড়ক, লামা-সুয়ালক, আজিজনগর, ফাইতং, কালাঘাটা-তাড়াছা, রোয়াংছড়ি-লিরাগাঁও সড়কসহ জেলায় মোট সড়ক রয়েছে প্রায় ৯শ কিলোমিটার। সম্প্রতি অতিবর্ষণে এগুলোর প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা সংস্কার করতে প্রায় দেড়”শ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জিয়াউল ইসলাম মজুমদার। তিনি জানান, সড়ক ছাড়াও এলজিইডির অফিস ও অফিসের সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অফিসের সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ মেরামতকরতে আরও প্রায় ২০ লাখ টাকার ওপরে লাগতে পারে।

সরজমিনে দেখা গেছে, এলজিইডির অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বেশির ভাগ স্থানে নিচের মাটি সরে গিয়ে ধসে গেছে।

কোথাও কোথাও পাহাড় ধসে পড়ে রাস্তার অর্ধেক অংশ ভেঙে গেছে। এসব সড়ক যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভোগান্তিতে পড়েছে এসব সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এলজিইডির নির্মিত দৃশ্যমান বেশকিছু সড়ক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব সড়কগুলো পর্যটকদেরও পছন্দের জায়গা ছিল। বান্দরবান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার।

তিনি বলেন, বান্দরবানে অতিবর্ষণে প্লাবিত হয়ে ও সড়কের মাটি সরে গিয়ে ৯শ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ৩শ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এসব সড়ক মেরামতে প্রায় দেড়”শ কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে। এছাড়া অফিসের সরঞ্জামের পেছনে আরও ২০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হবে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করবো।

এদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বান্দরবান ইউনিট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত জানান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্নয়ের কাজ চলছে। পাবত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২২৭ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এই পর্যন্ত তাদের ২২ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৪২ কোটি টাকা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রুমা-রোয়াংছড়ি সড়ক।