ভুয়া মামলায় ফরমায়েশি রায়ে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের কারাদণ্ড

ভুয়া মামলায় ফরমায়েশি রায়ে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের কারাদণ্ড

কাল্পনিক, ভুয়া ও বানোয়াট মামলায় যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আওয়ামী আদালত।

শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় কথিত অপহরণের পরিকল্পনার অভিযোগে দেশের খ্যাতিমান এই দুই সম্পাদককে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কারাদণ্ড দেয় ফ্যাসিবাদ অনুগত ঢাকার মেট্রাপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর।

কথিত এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ঢাকার সিএমএম আদালতে আসলে এই ম্যাজিস্ট্রেট পেছনে পেছনে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। সাক্ষীর পেছনে পেছনে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার স্থিরচিত্র তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। বিচারক যখন সাক্ষীর পেছনে পেছনে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে যান তখনই কারো বুঝতে অসুবিধা হয়নি মামলার রায় কি হবে। 

উল্লেখ্য, সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণের পরিকল্পনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও একটি মামলা হয়েছিল। এই অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে খারিজ হওয়া বিষয়ে বাংলাদেশে যখন আবার মামলা দায়ের করা হয়, তখন আমার দেশ সম্পাদক আওয়ামী জালিমের কারাগারে বন্দি ছিলেন। বন্দি মাহমুদুর রহমানকে এই কাল্পনিক ভুয়া মামলায় আসামী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে কারাগার থেকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল তখন।

শেখ হাসিনার নিপীড়নের শিকার আমার দেশ সম্পাদক কারাগারে অবস্থানকালেও ভুয়া অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি।

দেশের চলমান এই রাজনৈতিক সঙ্কটে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ও ফ্যাসিবাদ অনুগত আদালত মারিয়া হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে।