ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৮ মামলা বিচারাধীন

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৬৮ মামলা বিচারাধীন

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৬৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যার মধ্যে দুটি ফৌজদারী ও বাকিগুলো শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে কর গড়মিলের মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন।

তার বিচারাধীন মামলাগুলো হলো-
গ্রামীণ টেলিকমের ৬৪টি, গ্রামীণ কল্যাণের ৬৯টি, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ২৫টি, গ্রামীণ ফিসারিজের ৮টি, ইনকাম ট্যাক্সের ৮টি ও ফৌজদারী ২টিসহ মোট ১৬৮টি মামলা।

এদিকে শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই বিবৃতির পর বিবৃতি আসছে বিদেশ থেকে। বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ নোবেলজয়ী সব পক্ষের দাবি বিচার বন্ধের। তবে সরকার বিষয়টি নিয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটন। ড. ইউনূসের বিচার পর্যবেক্ষণে আগ্রহী তারা। তাই বাংলাদেশে আসতে সরকারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ওনাদেরকে (ওবামা ও হিলারি) জানানো হয়েছে। এই ইন্টারভিউ সম্পর্কে তারা জেনেছে। কিন্তু ওনাদের আসতে হলে তো একটা জিনিসকে শেষ করে দিয়ে আসতে হবে। ডাকলেই তো তারা আসতে পারবে না। মামলাগুলো নিয়ে বক্তব্য আনা হয়েছে। তারা এসে যদি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই মামলার ভেতরে কোনো সারবস্তু নাই।

এদিকে ড. ইউনূসের বিচার পর্যবেক্ষণ করতে যারা আসবেন তাদের স্বাগতম। কিন্তু এর জন্য আদালত অনন্তকাল বসে থাকবে না বলে জানান শ্রম আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ হওয়া আইনজীবী আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, তারা যদি মনে করে যে আমার সঙ্গে স্বাধীনভাবে বসবে তাহলে আমি বসবো। তারা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে বসতে পারে কিংবা থার্ড পার্টির সঙ্গে বসতে পারে। আমরা সবসময় এটাকে স্বাগত জানাই। তবে এই জন্য আমি দীর্ঘদিন বসে থাকতে পারব না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আসাটা আমাদের জন্য ভালো।

এদিকে ৩০ আগস্ট রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রামীণ ব্যাংক এক চিঠিতে ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রামীণ কমিউনিকেশনসকে জানায়, তাদের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হবে না। এ ঘটনায় এবার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯০০ শ্রমিকের মামলার আশঙ্কা করছেন আইনজীবী।

শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৫ সেপ্টেম্বর।-চ্যানেল 24