বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সিএসএ) খসড়ার অনেক বিধিই আইনি বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, সমানুপাতিকতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে বেমানান।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক বিবৃতিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্বর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নাদিয়া রহমান এই মন্তব্য করেছেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া থেকে কঠোর বিধিমালা বাতিলের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি। মন্ত্রিসভায় আইনটির খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নাদিয়া রহমান এই আহবান জানান।
অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে নাদিয়া রহমান বলেছেন, মন্ত্রিসভার সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করে ফেলা উচিত হবে না। কারণ, এটি মোটাদাগে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিলিপি এবং এটি একসময় বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গোপনীয়তা এবং স্বাধীনতা খর্ব করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি খসড়া সিএসএকে আরও এগিয়ে নেয়ার আগে তা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করতে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি খসড়া প্রকাশিত হয়। যেখানে সুশীল সমাজসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে, এ বিষয়ে প্রায় ৯০০টি সুপারিশ আইসিটি মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছিল।
