শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় উত্তাল চবি, ভিসির কার্যালয় ও পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর

শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় উত্তাল চবি, ভিসির কার্যালয় ও পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর

শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটক অবরুদ্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালিয়েছেন। ভাঙচুর চালানো হয়েছে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতেও। এসময় উপাচার্যের বাসভবনে লুটপাট করা হয় এবং উপাচার্যের বাসভবনে থাকা গ্যাস লাইন লিক করে দেয়া হয়।

এছাড়া রাত পৌনে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে থাকা শিক্ষক বাস ও প্রাইভেটকার ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া আন্দোলনের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপ যোগ দিলে আন্দোলনের ভিতরে নেতাকর্মীরা সংঘর্ষ বাধিয়ে দেয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মূল ফটক তালা লাগানো আছে এবং প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ দেখা যায়নি। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থদের হটিয়ে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। তবে এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদারকে ফোন দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে, দুর্ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঝেমধ্যেই শাটলের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে চড়ে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল নুয়ে পড়ে। এতে বৃহস্পতিবার বিকেলেও এক শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে অন্ধকার থাকায় ক্যাম্পাসগামী ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা গাছের ঢালের সঙ্গে সজোরে ধাক্কায় খায়। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফতেয়াবাদ মেডিকেল ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ট্রেনের ছাদে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। তারা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। ট্রেন চলে গেছে। আহতের সংখ্যা এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র বাহন শাটল ট্রেন৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেনে বগি সংকট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শাটল অপর্যাপ্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ছাদে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটলের বগি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসলেও মিলছে না কোন সুফল। যার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।