এমরানকে মার্কিন দূতাবাসে জায়গা দেয়াটা ঠিক হয়নি: সুপ্রিম কোর্ট বার

এমরানকে মার্কিন দূতাবাসে জায়গা দেয়াটা ঠিক হয়নি: সুপ্রিম কোর্ট বার

বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে জায়গা দেয়াটা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠির বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ৫১০ আইনজীবীর বিবৃতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মমতাজ উদ্দিন আরও বলেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন না। এটা আইনের লঙ্ঘন। বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্যেই তিনি এ কাজ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন দূতাবাসে স্ব-উদ্যোগে তিনি গিয়েছেন। কোন ভয়-ভীতিতে এ কাজ করেননি সেটা তিনি নিজেই বলেছেন। তবে মার্কিন দূতাবাসে তাকে জায়গা দেয়া ঠিক হয়নি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া সাধারণ মানুষতো সেখানে যেতে পারেন না। তাহলে কেন তাকে পরিবারসহ ডেকে নেয়া হয়েছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মমতাজ উদ্দিন বলেন, বরখাস্ত ডিএজি এমরান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যই না। তাকে নতুন করে বরখাস্ত করার প্রশ্নই আসে না।

গত বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগাদেশ ‘জনস্বার্থে বাতিল’ করে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। শুক্রবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর পরেই আশ্রয়ের জন্য মার্কিন দূতাবাসে যাওয়া এমরান আহম্মদ খুদে বার্তায় গণমাধ্যমকে জানান, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি মার্কিন দূতাবাসে আজ পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে ছিলেন। ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন যাবৎ অনবরত হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি পাঠান ১০৪ জন নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৭৫ ব্যক্তিত্ব। ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে সই করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই বিবৃতিতে সই করবেন না।

যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে– এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এমন কথা বললেও ওই কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।