ফের জলমগ্ন সিলেট, পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী হাসপাতালে

ফের জলমগ্ন সিলেট, পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী হাসপাতালে

তিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সিলেট। নগরের বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে পানিতে। সড়ক, বাসা-বাড়ি, দোকানপাট সব পানিতে একাকার। এতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে ভোগান্তিতে পড়া নগরবাসী।

এদিকে পানি ঢুকে পড়েছে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ব্যাহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালের চিকিৎসক অরূপ রাউৎ জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এবং সকল ছাত্রাবাসের নিচতলা অবধি পানি উঠে গেছে। হাসপাতালের সামনের সড়কও পানির নিচে। হাঁটু পানি ভেঙেই ডাক্তাররা ডিউটিতে এসেছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো সজিব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩৫৭.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরাণ, কুয়ারপাড়, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড় ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরসহ সিলেট নগরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানা গেছে। ফলে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নগরের বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেট মহানগরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে বার বার নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে। তালতলা এলাকার বাসিন্দা সানাওর রহমান চৌধুরী বলেন, রাত ৩টার দিকে আমার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ঘরের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর যেভাবে টানা বৃষ্টি চলছে পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বলা মুশকিল।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি কমলে পানি নেমে যাবে।

তিনি বলেন, ড্রেন নালা পরিষ্কার রাখতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এছাড়া সুরমা নদী খনন করানো জরুরি।