পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

পি কে হালদারকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১২ বছর আর অর্থপাচারের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আবদুস সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

একই সঙ্গে অর্থপাচারের মামলায় ১৩ জন সহযোগীকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। আজ রায় ঘোষণাকালে সহযোগী ১৩ জনের মধ্যে আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শঙ্খ বেপারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার প্রধান আসামি পিকে হালদার অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছরের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে তার বিচার চলছে।

এর আগে গত বুধবার দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

পি কে হালদারসহ পলাতক ১০ আসামি হলেন-পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পুর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপুর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রাখেন। মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডীয় ডলারের সমপরিমাণ অর্থ (৮০ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ১০৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।