আমেরিকার লোকদের মুখে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কথা দুঃখজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আমেরিকার লোকদের মুখে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কথা দুঃখজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থায় পর্যবেক্ষক দলের কোনো ভূমিকা না থাকলেও দেশটির লোক (প্রতিনিধিরা) এসে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের কথা বললে সেটি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নেই। কিন্তু সে দেশগুলো ভালো চলছে। আমেরিকায় কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নেই। অথচ তাদের দেশের লোক বাংলাদেশে এসে যদি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কথা বলে, এটা দুঃখজনক। তারা একটা ফরমায়েশি দিয়েছে, ভালো। তবে মতামত, এটা খুব গুরত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) এটা নিয়ে এত হৈচৈ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদেশিদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশের লোকেরা এসে সাক্ষাৎ করছেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য। সেই ফাঁকে কেউ কেউ নির্বাচনের কথা বলেন। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের উদ্দেশে) হট টপিক। তারা খুব মজা পান, বাংলাদেশের মিডিয়া তাদের পাত্তা দেয়। এজন্য তারা উপভোগ করেন।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না, বিদেশিরা আমাদের কাছে আসে। তারা (বিদেশিরা) আসে, তারা অনুরোধ করে। দেখেন, আমেরিকার কত লোক আসছে আমাদের কাছে। আমরা তাদের কাছে যাই না। তারা আমাদের মিশনে এসে দেখা করেছে। আমরা তাদের হাউজে যাই না। তারা এসেছে আমাদের দপ্তরে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের পাঁচটি সুপারিশ প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছে। দিস ইজ ওয়েলকাম। সব সময় আমরা সংলাপ করে যাচ্ছি বিভিন্ন দলের সঙ্গে। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই। তারাও সংলাপ করুক, তারা যদি চায়। আমরা একটা স্বাধীন কমিশন তৈরি করেছি, যেটা তারা বলেছে। সুতরাং এটার সঙ্গে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, আমরা চাই সব লোক ভোট দিক, সব দল ভোটে অংশ নিক। এটা নতুন কিছু নয়। তারা একটা ফরমায়েশি দিয়েছে, ভালো। তবে মতামত, এটা খুব গুরত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) এটা নিয়ে এত হৈচৈ করার কোনো প্রয়োজন নেই।